তোমার ডানহাত দাও। গান লিখব। তারপর জানলা দিয়ে উড়িয়ে দেব। দক্ষিণের জানলা খুলে দেখব ফিরে আসে কি না। কোথায় দক্ষিণ ! সে দোকান তো কবেই উঠে গেছে। এখন তো দেশজুড়ে শুধু সমীকরণ। জোর করে মিলিয়ে দেওয়ার শক্তি পরিচয়। সেই উড়ে যাওয়া গান কোনো মুখে নেই। হাজার বছরেও তা আর বুকে লেখা হবে না। সে গান উড়ে উড়ে বেড়াবে শুধু। কার অত বড় হাত যে ধরবে !
শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০
সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০
নির্মাণ আলোর নিহিত রহস্য
অসমাপিকা ক্রিয়ায় গড়িয়ে যাচ্ছে দিন
চেনা দিন রাতের মধ্যে একটা আলো
খুব চেনা পথকেও যেন সে বদলে দিচ্ছে
তার নিজের আলোয় নিজের মতো করে
অনেকের মধ্যে ভেসে বেড়ালেও
আমারও একটা নিজস্ব আলো আছে
এবং আমার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত আলো
এসবের যোগফল এখন আমার শরীরে
এতদিন সবাই আমাকে জানিয়েছে
এবং আমি নিজেও অন্ধ নই
আলো মানেই সংঘাত
পিলসুজের গায়ে ও চারপাশে
অন্ধকারের ঘন বুননের সঙ্গে
বটগাছটার পিছনে তখনও যারা
সকালে পরিবারটাকে সাজিয়ে নেওয়ার জন্য
মাটি কোপাচ্ছিল
তারাও এলো নিজেদের আলো নিয়ে
না, সংঘাতের কোনো গন্ধই নেই
তাড়াতাড়ি আসার জন্যে যে লোকটা
রথের মেলায় কেনা জুতোটাও পড়তে পারে নি
আজ এই অবেলায় জুতো পড়তে পড়তে
তার সামান্য আলোটাও
চলে গিয়েছিল অনেকটাই আড়ালে
সংঘাত কি জিনিস জানতে পারল না সেও
সবাই নিজের মতো করে সাজাচ্ছিল
কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছিল না পর্যন্ত
ঠিক যেমন সবাই চেয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে
নিজের নিজের পরিচয় দেয়
কেউ কাউকে অনুকরণ করে না
প্রত্যেকটাই হয় নিজের রঙে রঙিন
সূর্য যখন বটগাছের মাথা পেরিয়ে
অনেকটাই পশ্চিমে ঢলে পড়েছে
তখন অনেকেরই নিজের নিজের
বাড়ির কথা মনে পড়ে গিয়েছিল
কারখানার পরিশ্রমের পরেও
তাদের শরীরে ছিল না কোনো ক্লান্তির ছাপ
সব শেষে তারা যত্নের নির্মাণের সামনে
সাজিয়ে দিয়েছিল তাদের যৎসামান্য আলোটুকু
ততক্ষণে তারা এক একটি গাছ
রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০
বদল
১
চোখ খুলেই ভোরের বন্দেমাতরম
দেখতাম বাবা জনতায় চা বসিয়েছে
কতদিন ভোরের বন্দেমাতরম শুনিনি
এখন তো চোখ খুলেই রোদের উত্তাপ
২
ভোরের অ্যালার্মের মতো চড়ুইয়ের ডাক
আবহসঙ্গীতের মতো কানে বাজত
কোথায় চড়ুইয়ের সেই ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ ওড়া
বাংলার উঠোনে আজ শ্মশানের নিস্তব্ধতা
৩
আমার তোমাকে না চিনতে পারা
তোমার মনে লাগল খুব
তোমার নিজের আমূল বদলে যাওয়া
তোমার চোখে পড়ল না একবারও?
শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০
জলের ভেতর
জলের গায়ে মাথা রাখলে
জল সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে
জড়িয়ে ধরা দেখলে মনে হয়
কতদিন মানুষ পায় নি জল
জলের ভেতর কত পাখি
উড়ে যাচ্ছে আবার এসে বসছে
একবারের জন্যেও মানুষ শোনে নি
পাখির গান
কোনোদিন জলের ভেতর চেয়ে দেখে নি
পাখির সংসার ।
শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
আমাদের ঘর
একবার ঘরের মধ্যে এসে দাঁড়াও
ভালো করে দেখো ঘরটাকে
তুমি দাঁড়িয়ে আছো, আমিও
দিনের শেষে এখানেই ফিরব আমরা
জানলাগুলোর দিকে তাকাও
ওগুলো আমাদের মনের রঙ
কখনও বৃষ্টি, কখনও রোদ, কখনও মেঘলা,
আমরা সবসময় জানলা খোলা রাখব
জানলার রঙে ঘরের রঙ বদলে যাবে
ভালো করে ঘরটার দিকে তাকাও
এটা আমাদের ঘর, পাশেরগুলোও আমাদের
এখানে আমরা সবাই থাকি
ঘর দেখতে দেখতে আমাদেরকে দেখো ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০
সমীকরণ
আমার ভাবনার প্রবাহ থেকে
একটি দুটি পরিচিত নাম
টেনে আনতে চেয়েছ নিজের নিয়ন্ত্রণে
কে তারা ? তাদের বিস্তারে কেন গাত্রদাহ ?
তারা তো নিজের মতো নিজস্ব রোদে বেড়ে যায়
তোমার প্রবাহের পরীক্ষা করে নিতেই পারো
আগামীতে অঙ্ক আরও জটিল হয়ে যাবে
প্রবাহের রসায়ন খুলে দেখ
কত শতাংশ আছে প্রতিবাদ
কতটুকু আছে বশ্যতা
গতিমুখে তুলে দাও সহজ সমীকরণ
বুঝে নাও সব গতি নয়কো গভীরে
নদী শুধু বয়ে যায় তীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে
বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০
ভাঙনকথা
ভেঙে গেলে ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসে
একটা দুটো তিনটে চারটে নদী
পারে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন
বছরের পর বছর ধরে যারা চুপ ছিল
এখন তারা অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে
তারা খুলে দেয় চারপাশের জানলা
এমনকি দরজা খুলে দিতেও তারা
বিন্দুমাত্র সময় নেয় না
ভেঙে গেলে অনেকেই জড়ো হয়ে যায় রাতারাতি
হেমন্তের সমীকরণে অপারক পুরুষও
খাতা কলম নিয়ে বুঝিয়ে দেয়
নদীস্রোতে কতখানি গোপন ছিল ঢেউ
কতগুলি হাত কি পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে ঘুরলে
কতগুলি টুকরো হয়ে ভেঙে যেতে পারে
ভেঙে গেলে প্রান্তর জুড়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা
কে কত আগে ছুঁয়ে দিতে পারে বুড়ি
কার চোখে ধরা আছে কতখানি জল
সব নিয়ে লেখা হবে ভাঙনের বাজারি সংলাপ
ভেঙে গেলে বোঝা যায় কতখানি ভাঙা ছিল আগে
কত রঙ দেওয়া ছিল ফাটলে ফাটলে ।
মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০
সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০
শিল্পশিবিরে একদিন
[ সালটা সম্ভবত ১৯৯৮। কলেজ স্কোয়ারে ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেয়ার চলছে। তখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। একদিন দুপুরবেলা বাধনদা (শিল্পী বাধন দাশ) এসে হাজির। চা সিগারেট আর সেই সঙ্গে চলছে আড্ডা। সন্ধের মুখে বৃষ্টি নামল। বাধনদা এমন একটা জায়গায় বসেছিলেন বৃষ্টিতে তাঁর পিঠটা ভিজে যাচ্ছিল। আমি সরে আসতে বললাম। তিনি সরে না এসে হাসতে শুরু করলেন। তার ওইরকম হাসি আমি কখনও শুনিনি। কবিতাটির সৃষ্টি বাধনদার ওই হাসির শব্দ থেকেই ]
একমাত্র তিনি ছাড়া শিল্পশিবিরের অন্যান্য শিল্পীরা
একস্তর রঙের ওপর আবার নতুন করে রঙ চাপাচ্ছেন
অনেকটা দূরে একটা গাছের নিচে
সাদা ক্যানভাসটার সামনে তিনি একাকী বসে আছেন
হাতে চায়ের ভাঁড়, টিউবে রঙ, তুলি শোওয়ানো
মাঝে মাঝে চা খাচ্ছেন
পিছন থেকে কে একজন ডেকে উঠতেই
তিনি ভাঁড় ছুঁড়ে তুলি নিয়ে ক্যানভাসে মেতে উঠলেন
অসংখ্য কালো রেখা ------- রেখার মিছিল
মনে হলো ক্যানভাস জুড়ে ভীষণ ঝড় উঠেছে
উঠলও তাই
রঙ ইজেল ক্যানভাস ফেলে যে যেদিকে পারল ছুটলো
সবকিছু দেখে তিনি হাসতে শুরু করলেন
আকাশ ফাটানো হাসি
তাঁর ওই ভীষণ হাসির শব্দে শিল্পশিবিরের সমস্ত ক্যানভাস
ঠিক মাঝ বরাবর হয়ে ফেঁসে যেতে লাগলো
আর সেইখান থেকে বেরিয়ে এলো
এক একটা কিম্ভুতকিমাকার প্রাণী, আর যাই হোক
তাদের অন্তত কেউ মানুষ বলে ভুল করবে না
দশ ও পনেরতলা ফ্ল্যাটের যে দু'জন শিল্পী
ধানের শীষ আঁকার চেষ্টা করছিলেন
তাদের ক্যানভাসের প্রাণীদুটোর শরীরে নখও ছিল
ঝড় থামতে সবাই শিবিরে ফিরে এসে দেখলো
টিউবের সব রঙ প্রাণীগুলো গায়ে মাখছে
ক্যানভাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে
গাছতলায় ইজেলে টাঙানো ক্যানভাসটি
তখনও অক্ষত অবস্থায় একাকী দাঁড়িয়ে আছে
কিন্তু শিল্পীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না ।
***************************
রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০
বিষন্ন বিকেলে
মানুষের গন্ধ নিয়ে যে জাহাজটা
ভেসে গেছে গত মাসের এক বিষন্ন বিকেলে
সে জাহাজের ছায়া আছে লেগে
দুপুরের জানলা থেকে যার রোদ এখনও শুকিয়ে যায় নি
এই তো সেদিনও বন্দর জুড়ে দারুণ কোলাহল
মাথা গুনে যারা দেবে জাহাজেতে টান
তারা সব দাঁড়িয়ে থাকে হলুদ বিকেল খেতে
দুপুরের রোদে যারা চরতে বেড়িয়েছিল
তাদের বেশ কিছু মুখ গেয়ে উঠেছিল গান
দুপুরের নামতা মুখস্থ করে তারাও
হলুদ বিকেল গায়ে মাখতে পেরেছিল
ঠিক গান নয়
সুরের সূচ অনভ্যস্ত গলায় এসে বিঁধেছিল
তারাও সব দলবেঁধে উঠেছিল জাহাজে
বটপাতায় এখন সন্ধের ঘর
নক্ষত্রের প্রদীপ বাতির মতো একাকী দাঁড়িয়ে থাকে
হাতে গোনা দু'একজন আকাশে মুখ রাখে
পান করে নেবে জলময় মেঘ
এইভাবেই বটপাতা ভোর থেকে বাসা-গান গেয়ে নেবে
পৃথিবীর মাটিতে মাটিতে ।
শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০
বাঁক ঘুরলেই বিস্ফোরণ
ঘুমের চাদর সরিয়ে উঠে এলো কিছু গাছ
সারারাত তারা যুদ্ধ চায় নি
অনেকেই তাদের গায়ে মুছে দিয়েছিল
বারুদের গন্ধ
গাছের গান উঠেছিল পুব আকাশে সূর্যের মতো
বারুদের গন্ধ মুখে হেসেছিল রাতের গাছে
লুকিয়ে থাকা বাদুড়ের দল
চৌকাঠের আলোয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল
দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মুখ
তাদের চোখ ছুটে গিয়েছিল দিগন্তের সবুজ নৌকায়
কোনো কোনো বিষন্ন সন্ধেয় হঠাৎ পদশব্দের
কম্পনে চকচক করে উঠেছিল তাদের মুখ
তালাচাবির ইতিহাস জানা নেই বলে
অনেকই তৈরি করে নি ঘর
আকাশের ছাতা মাথায়
তারা নিজেদের কথা শুনেছিল খুব
বারুদের গন্ধের মধ্যেই পেতেছিল ঘরকন্না
তাই বারুদকে ভেতর থেকে চিনেছিল খুব
দিগন্তের সবুজ নৌকায় কেউ ফেরে নি বলে
ঘরকে ভাসিয়ে দিয়েছিল ঘর
এখন তারা সব আকাশ ছাতায়
গাছের ভরসায় সবাই এখন রেললাইনের সোজায়
জল জাগিয়ে জেগে উঠে দাঁড়াচ্ছে
বাঁক ঘুরলেই বিস্ফোরণ ।
শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০
রোদ উঠলে
রোদ উঠলে--------------রোদ উঠলে আলগা হয়ে যাওয়াগ্রন্থিগুলোর মধ্যে যে নিহিত অন্ধকারসেখানেও রোদ এসে ছড়িয়ে পড়েসকালের ভুল বোঝাবুঝি থেকে উড়ে আসা মেঘজায়গাগুলোকে স্যাঁতসেঁতে করে রেখেছিলরোদের গায়ে গা লাগিয়েএই প্রথম তারা উষ্ণতা পেলসেখান থেকে একটা দুটো পাখিকোথায় যেন উড়ে গেলউষ্ণতার স্পর্শ পাওয়া জায়গাগুলোতেএই প্রথম পা রাখলামকেউ কোথাও নেই ------ সবাই যেন লুকিয়ে পড়েছেশুধু না তাকানোর জন্য সমীকরণকী ভীষণ কঠিন হয়ে গেছেপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী, হাওয়াকতকিছু ছড়িয়ে দিয়েছিলআমরাও তো এরকম কিছু চেয়েছিলামতা না হলে এতদূর পর্যন্ত গড়িয়ে আসবো কেন ?রোদের বুকে উড়িয়ে দিয়ে ঘুড়িযত খুশি সুতো ছেড়ে যাইপ্রত্যেকের দরজায় দরজায় রেখে আসি সাদা ক্যানভাসনিজের খুশি মতো রঙ নিয়ে উড়ে যাওরোদ উঠলে দেখতে পাই ----সবাই নিজের মতো করে রোদ্দুর আঁকছে ।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০
পথ
পথ ---- ১
পথ হারিয়েছ কেন বলবো ?সবাই পথ হারায় নাকেউ কেউ হারায়তবুও পথ হারিয়েছ বলবো নাপথ তোমাকে দেখবে বলেকিছুক্ষণের জন্য নিজের করে নিয়েছে ।পথ ----- ২পথ তার নিজের ঠিকানায় এগিয়ে চলেছেতুমি চলেছ তোমার তালেপথের কথা আর তোমার কথাএক হতে পারে নাতুমি যখন বলবে, " যেদিকে দু'চোখ যায় -----"তখন পথ তোমাকে নিজের হাতে তুলে নেবেপথ কথা বলবে তোমার গলায়যখন পথের গলা আর তোমার গলাভিন্ন বলে মনে হবে নাতখন তুমি দিগন্তে মিশে যাবে ।
বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০
অক্ষর
--------
অক্ষর যে এত গরম হয় আমার জানা ছিল না। অক্ষর যে এত ঠান্ডা হয় সেটাই বা কি আমি জানতাম। অক্ষর আমায় তার ঝুলি থেকে একটার পর একটা রঙ বার করে দেখিয়েছে। একসঙ্গে অনেক দিন ঘর করার পর এটাও জেনেছি অক্ষরের পিঠে দুটো ডানাও আছে। একবার সে আমাকে সাত সমুদ্র তের নদীর পার থেকে ঘুরিয়েও এনেছে। সত্যি কথা বলতে কি অক্ষরের সাথে এক ছাদের নীচে এইভাবে ঘর না করলে তার সম্পর্কে অনেক কথাই আমার অজানা থেকে যেত। আসলে মানুষের মুখের গুহা সম্পর্কে আমার ধারণাটাই ছিল আবছা আবছা।
লাল বিন্দু
-----------
লাল বিন্দুটাকে ঘিরে আমরা সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর আমাদের চোখের সামনে ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে অর্থ, যশ, খ্যাতি। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ফুটবলের মতো দু'একটাতে পাও লাগাচ্ছে। আমরা জানি লাল বিন্দুটা নিভে গেলেই কক্ষচ্যুত তারকাদের মতো আমরা বিভিন্ন দিকে ছিটকে যাব এবং প্রত্যেকেই হয়ে উঠব এক একজন গোলকিপার। তখন পায়ে নয় বুকে জড়াতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ব।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সিঁড়ি
আমার ভাবনার মধ্যে কখনও সিঁড়ি ছিল না চললে সিঁড়ি তো লাগেই তাই রাস্তায় সিঁড়ি আসে সিঁড়ি তো আসলে রাস্তা নদীর এগিয়ে চলার পথ সিঁড়ি দিয়ে ...