বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০

ভাঙনকথা






ভেঙে গেলে ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসে
একটা দুটো তিনটে চারটে নদী
পারে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন
বছরের পর বছর ধরে যারা চুপ ছিল
এখন তারা অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে
তারা খুলে দেয় চারপাশের জানলা
এমনকি দরজা খুলে দিতেও তারা 
বিন্দুমাত্র সময় নেয় না

ভেঙে গেলে অনেকেই জড়ো হয়ে যায় রাতারাতি
হেমন্তের সমীকরণে অপারক পুরুষও 
খাতা কলম নিয়ে বুঝিয়ে দেয়
নদীস্রোতে কতখানি গোপন ছিল ঢেউ
কতগুলি হাত কি পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে ঘুরলে 
কতগুলি টুকরো হয়ে ভেঙে যেতে পারে

ভেঙে গেলে প্রান্তর জুড়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা
কে কত আগে ছুঁয়ে দিতে পারে বুড়ি
কার চোখে ধরা আছে কতখানি জল
সব নিয়ে লেখা হবে ভাঙনের বাজারি সংলাপ

ভেঙে গেলে বোঝা যায় কতখানি ভাঙা ছিল আগে
কত রঙ দেওয়া ছিল ফাটলে ফাটলে ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সিঁড়ি

  আমার ভাবনার মধ্যে  কখনও সিঁড়ি ছিল না চললে সিঁড়ি তো লাগেই তাই রাস্তায় সিঁড়ি আসে সিঁড়ি তো আসলে রাস্তা নদীর এগিয়ে চলার পথ সিঁড়ি দিয়ে ...